ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর ৬০ টি টিপস
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
ব্লগিং এখন বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগাররা
তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপডেট দিয়ে থাকেন। তবে শুধু কনটেন্ট তৈরি করলেই আপনার
ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে না।
আপনার ওয়েবসাইটে যতদিন না পর্যন্ত অর্গানিক ভিজিটর আসবে না, আপনার ওয়েবসাইটের
কনটেন্ট গুলো ততদিন পর্যন্ত গুগলে র্যাঙ্কিং করবে না। ওয়েবসাইটে অর্গানিক
ভিজিটর বাড়ানোর জন্য নতুন ব্লগারদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আপনারা
কিভাবে নতুন ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন তার ৬০ টি টিপস নিয়ে আলোচনা
করব এই আর্টিকেলে।
পোস্ট সূচিপত্র :
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ৬০ টি
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
যারা সাধারণত নতুন ব্লগার তাদের মাথায় রাখতে হবে কিভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর
বাড়ানো যায়। কারণ ওয়েবসাইটে ভিজিটর না আসলে ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যাবে এবং দিন
দিন ভিজিটর কমতে থাকবে। এরকম হতে থাকলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন
না। তাই সবার জানা উচিত ওয়েবসাইটে কিভাবে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানো যায়।
তাহলে চলুন আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর
বাড়ানোর ৬০ টি টিপস।
- নির্ভুল কিওয়ার্ড নির্বাচন করা : আপনার ওয়েবসাইটে যতই ভালো মানের আর্টিকেল লিখুন না কেন, যদি সঠিকভাবে কাজ না করেন তাহলে আপনার কি ওয়ার্ড সার্চ করে কেউ খুঁজে পাবে না। তাই নতুনদের জন্য প্রথম কাজটি হল সঠিকভাবে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে শেখা ।
- কনটেন্টের গুণগতমান এবং গভীরতা : আপনি যদি ওয়েবসাইটে ভিজিটর ভিজিটর বাড়াতে চান তাহলে সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করে কনটেন্ট লিখে ব্লগারে পোস্ট করলেই হবে না, কনটেন্টের গভীরতা থাকতে হবে সঠিক তথ্য থাকতে হবে এবং আর্টিকেলে এমন তথ্য থাকতে হবে যাতে পাঠকরা পড়ে উপকৃত হয় এবং আর্টিকেলের মধ্যে অনেকটা সময় ব্যয় করে। কনটেন্ট লেখার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ১২০০ এর নিচে কন্টেন্ট লেখা যাবে না এরকম কনটেন্ট গুগলে র্যাঙ্ক করবে না । আপনার কনটেন্ট অবশ্যই ১৫০০ ওয়ার্ডের বেশি থাকতে হবে এবং আপনি যে কিওয়ার্ড দিয়ে কনটেন্ট লিখবেন সেই কনটেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে পাঠক মনোযোগ সহকারে কনটেন্টটি পড়তে থাকবে এবং অন্য ওয়েবসাইটে আর যাবে না।
- টাইটেল ও সাবটাইটেল অপটিমাইজেশন : ওয়েবসাইটে ডিজিটাল বাড়ানোর জন্য এটা একটি সেরা মাধ্যম। গুগলে যখন মানুষ যেকোনো কিওয়ার্ড সার্চ করে তখন ভিজিটরদের আকর্ষণ করার জন্য এটা সেরা মাধ্যম। আপনি যদি টাইটেল ও সাবটাইটেল সঠিকভাবে কিওয়ার্ড দিয়ে থাকেন তাহলে সাস ইঞ্জিনে আপনার কন্টেন্ট প্রথমে আসার চান্স থাকবে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক অর্গানিক ডিজিটর বাড়িতে থাকবে। টাইটেল ও সাবটাইটেলের সাথে টিপস গাইড ওইগুলা ব্যবহার করেন তাহলে ওয়েবসাইটে ক্লিকের সংখ্যা বাড়বে।
- মেটা ডেসক্রিপশন করা : আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মেটা ডেসক্রিপশন। মেটা ডেসক্রিপশন বলতে সাধারণত পুরো কনটেন্ট এর সারাংশ কনটেন্টের বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিনিয়ার রেজাল্ট পেইজে দেখায়। এভাবে ভিজিটরদের ক্লিক সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাই কনটেন্টের মূল তথ্যকে ডেসক্রিপশনে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে ভিজিটররা দেখে তাদের নজরে আসে এবং সেখানে ক্লিক করে।
- হেডিং ট্যাগ অপটিমাইজেশন : আপনার ওয়েবসাইটে ক্রমাগত ভিজিটর বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাধারণত হেডিং ট্যাগ গুলো h1, h2, h3 ইত্যাদি এইগুলা ভিজিটররা সহজে বুঝতে পারে। h1, h2 ট্যাগের মধ্যে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে দিবেন যাতে হেডিংগুলো সংক্ষিপ্তভাবে এবং আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে নিবেন।
- ইমেজ অপটিমাইজেশন : যেকোনো ওয়েবসাইটে ইমেজ অপটিমাইজেশন ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করে । এটি সাধারণত কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। অবশ্যই ইমেজ অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে ইমেজ যাতে লোড না নাই ওয়েবসাইটে যাওয়ার সাথে সাথে যেন দেখা যায়। অনেক সময় ওয়েবসাইটে দেখা যায় লোডিং নিতে তিন সেকেন্ডের বেশি সময় নেই যদি তিন সেকেন্ডের বেশি সময় নেই তাহলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটররা অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবে। ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে চাইলে অবশ্যই সঠিকভাবে ইমেজ অপটিমাইজেশন করা দরকার।
- ইন্টার্নাল এক্সটার্নাল লিংক এর ব্যবহার : আপনি যদি সঠিকভাবে ইন্টার নাল লিংক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ডিজিটাল বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি চাইলে এক্সটার্নাল ফিল্মগুলোর মাধ্যমে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের সাথে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক দিতে পারেন তাহলে ওই ওয়েবসাইটেরও ভিজিটর আসবে। ওয়েবসাইট স্পিড : সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করানোর জন্য ওয়েবসাইটে স্পিড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যে ওয়েবসাইট গুলার স্পিড বেশি থাকে সেই ওয়েবসাইট র্যাংকিং এর জন্য এগিয়ে থাকে। ওয়েবসাইটে স্পিড যত বেশি হবে ভিজিটর তত বেশি আসবে।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন : ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সার্চ ইঞ্জিনে যখন কেউ কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন যদি সার্চ লিস্টে আপনার ওয়েবসাইট আসে তখন যদি সেখানে ক্লিক করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে । ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের উপর উপরদিকে নিয়ে আসার কাজ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ।
- পেইড মার্কেটিং : পেইড মার্কেটিং করার জন্য গুগলে পেইড সার্ভিস থাকে যেমন Google Ads এটার মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানো হয় । Google Ads এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করা যায়।
- উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরি : আপনার ওয়েবসাইটে যদি নিয়মিত ভিজিটর বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে নতুন নতুন আপডেট কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত পাবলিশ করতে হবে। কনটেন্টি অবশ্যই আকর্ষণীয় তথ্যপূর্ণ থাকতে হবে যাদের পাঠকরা তাদের প্রয়োজনমতো উপকৃত হতে পারে।
- ওয়ান পেজ SEO : ওয়ান পেজ SEO এরমধ্যে সব দিকে ঠিকভাবে করতে হবে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো টাইটেল ডেসক্রিপশন হেডিং ট্যাগ বসাতে হবে ফোকাস আর্টিকেলের মধ্যে সঠিক ব্যবহার করতে হবে ইমেজ SEO করতে হবে ।
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন : বর্তমানে কম্পিউটার ল্যাপটপের থেকে মোবাইল ইউজার বেশি তাই মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইটে বেশি ব্রাউজ করে থাকে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট টিকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করতে হবে। মোবাইল ফ্রেন্ডলি না থাকলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা কমে যেতে পারে তাই অবশ্যই মোবাইল ফ্রেন্ডলি করে রাখবেন যাতে করে মোবাইল থেকে আপনার ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর নিয়ে আসতে পারে।
- ভিডিও কনটেন্ট এবং ইমেজ SEO : ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ইমেজ SEO থাকতে হবে। প্রত্যেকটা ইমেজের মধ্যে ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত যাতে গুগল সহজে বুঝতে পারে । ওয়েবসাইটের মধ্যে ইউটিউবের ভিডিও সেট করতে পারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের পাশাপাশি আপনার youtube এর ভিডিও দেখবে। এগুলা আপনি যদি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ক্রমাগত ভিজিটর বাড়তে থাকবে।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লককে প্রমোট করা : আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্লককে প্রমোট করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমগুলো যেমন : facebook , YouTube, twitter, Instagram, ইত্যাদি এই মাধ্যমগুলির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্টগুলি শেয়ার করতে পারেন। আবার আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের মিল রেখে গ্রুপ খুলে শেয়ার করতে পারেন।
- ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক লিংক বৃদ্ধি: আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে র্যাঙ্ক লিংক বৃদ্ধি করতে হবে । ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক বৃদ্ধি করতে র্যাঙ্ক লিংক খুবই সাহায্য করে । যত বেশি র্যাঙ্ক লিংক হবে আপনার পেজ র্যাঙ্ক তত বৃদ্ধি পাবে।
- নিয়মিত পোস্ট করা : আপনার ওয়েবসাইটে ডিজিটাল বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন পোস্ট না করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে আর ঠিকমতো প্রবেশ করবে না। আপনার ওয়েবসাইটে পোস্টগুলি সঠিক তথ্যবহুল থাকতে হবে যাতে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটররা উপকৃত হন ।
- ব্লক সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করো : ব্লক সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিত সাবমিট করা উচিত । অনেক সংখ্যক তথ্যের মধ্যে ভিজিটররা নির্দিষ্ট কোন তথ্য খোঁজার জন্য তারা সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নিয়ে থাকে । সার্চ করার পরে প্রথম পেইজে যে তথ্য খুঁজে পাবে তাদের ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিনটিতে সাবমিট করা হয়েছে। এইভাবে সার্চ রেজাল্ট প্রথমের দিকে আনতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের অভাব হবে না ।
- ভিডিও মার্কেটিং করা : ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ভিডিও মার্কেটে একটি সেরা মাধ্যম । বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ইউজার দিন দিন বেড়েই চলেছে এমন কোন লোক নেই যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। তাহলে আর্টিকেলের ওপর youtube এ ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে ডেসক্রিপশনে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে রাখবেন । এইভাবে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে পারেন ।
ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর কি
ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভেজিটর কি আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। ওয়েবসাইটে
অর্গানিক বলতে কেউ গুগলে কিছু লিখে সার্চ করে যদি সেই সম্পর্কে কোন কন্টেন্ট থাকে
তাহলে তারা খুঁজে পাবে এবং কোন পেইড বিজ্ঞাপন ছাড়াই সার্চ ইঞ্জিন যেমন
google বা অন্য কোন সোর্স সাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে । এভাবে আপনার
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়তে থাকলে আপনার ইনকাম বেড়ে যাবে।
এমন অনেক রকম ভিজিটর আছে যারা গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য, সেই
সম্পর্কে আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লেখা থাকে তাহলে সেখানে তারা ক্লিক করবে এবং
আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। এভাবে প্রতিদিন যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ভিজিট
করে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ইনকাম বাড়তে থাকবে ।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর যাবতীয় উপায় সম্পর্কে এই আর্টিকেলে
বিস্তারিত সব আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং সঠিক তথ্য
জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর ৬০ টি উপায় সম্পর্কে
আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে এই উপায়গুলো অনুসরণ করে ভিজিটর
নিয়ে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন ঃ
আজকের এই আর্টিকেল পড়ে যদি সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন এবং উপকৃত হন। তাহলে আপনার
পরিচিতদের সাথে পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করে দিন। তারাও সঠিক
তথ্য থেকে অনুসরণ করতে পারবে এবং উপকৃত হবে। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য
ধন্যবাদ
জেভন্টার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url